জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু আজ রোববার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর তিনি দলের ভেতর-বাইরে চাপের মুখে পড়েন। তাই ক্ষমতা গ্রহণের ১১ মাসের মাথায় অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন ইশিবা।
স্থানীয় সময় আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৮ বছর বয়সী ইশিবা বলেন, ‘আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করব।’
তবে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনসভার কোনো কক্ষেই এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই নতুন দলীয় সভাপতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই।
ইশিবার পদত্যাগের ঘোষণা বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিটির জন্য নতুন অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশটি বর্তমানে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ গাড়িশিল্পের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব নিয়ে চাপে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশিবা বলেন, ‘মার্কিন শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই আমার বিশ্বাস (পদত্যাগের) এটি সঠিক সময়।’ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আমি সরে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ট্রাম্প যখন অনেক দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন, তখন জাপানের পণ্যের ওপরও বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক যুক্ত হয়। এর ফলে জাপানের গাড়িশিল্পের ওপর শুল্ক দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনার পর জুলাইয়ে একটি চুক্তি হয়। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এ–সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। সেখানে জাপানি গাড়ির বর্তমান শুল্ক ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। এদিকে বাড়তি শুল্ক অনেকটা কমানো সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক জাপানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতটিকে যথেষ্ট চাপে ফেলবে।
0 Comments