ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ আক্রমণ এবং পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক হামলায় উভয় দেশেই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, जबकि পাকিস্তান ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় দেশকে সংযম ও সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধান করতে আহ্বান জানাচ্ছে।
২০২৫ সালের ৭ মে, ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে। ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। ভারতের দাবি, এই হামলাগুলো পাকিস্তানে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মুহাম্মদ-এর ঘাঁটিতে পরিচালিত হয়েছে। পাকিস্তান এই হামলাকে 'সন্ত্রাসী' আক্রমণ বলে অভিহিত করে পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দেয়।
পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং বেশ কয়েকটি ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারতও দাবি করেছে যে, পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে উভয় দেশেই বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে; পাকিস্তান ৩১ জন নিহতের খবর দিয়েছে, অন্যদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই সংঘর্ষটি কাশ্মীরে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয়, যেখানে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে দায়ী করে। এই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানালেও, পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই সংঘর্ষ যদি আরও বৃদ্ধি পায়, তাহলে তা পারমাণবিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যা মানবতার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় দেশকে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে। তবে, দুই দেশের মধ্যে আস্থার অভাব এবং দীর্ঘদিনের বিরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এই সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং পাকিস্তানের অর্থনীতি নতুন করে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

No comments:
Post a Comment